আওয়ামী ন্যারেটিভে বিএনপি বসানোয় ব্যস্ত ইসলামী কিছু দল: সভা-সমাবেশ, গনসংযোগে চলছে এই প্রচারণা

৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতিবাচক ন্যারেটিভের জায়গায় বিএনপিকে বসানোর কৌশলে মাঠে নেমেছে ইসলামী ধারার কিছু দল। সেই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর ডেমরায় আয়োজিত এক সমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বিএনপি নেতৃত্বের অনুপস্থিতি ও আন্দোলনের ফসল ভোগের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দিয়েছেন।

PostImage

আওয়ামী ন্যারেটিভে বিএনপি বসানোয় ব্যস্ত ইসলামী কিছু দল: সভা-সমাবেশ, গনসংযোগে চলছে এই প্রচারণা


৫ আগস্টের পর থেকে একটি দল দেশজুড়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, জীবন বাজি রেখে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তারা। অথচ আজ দেখা যাচ্ছে, আন্দোলনের ফসল ভোগ করছে অন্যেরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা রাস্তায় ছিলেন না। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কিংবা তারেক রহমান কেউই রাজপথে ছিলেন না। জামায়াতের কোনো শীর্ষ নেতাকেও দেখা যায়নি। অথচ রাজপথে জীবন বাজি রেখে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরাই।

ফয়জুল করীম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে মানুষ ভেবেছে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে মুক্তি আসবে। কিন্তু ১৯৭০ থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনে জনগণ প্রতারিত হয়েছে। কেবল নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়, প্রয়োজন নীতির পরিবর্তন।

তিনি দাবি করেন, “ইসলাম রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে দেশের গরিব মানুষ দারিদ্রসীমার ওপরে উঠে আসবে। সবাইকে পরীক্ষা করেছেন, ফেল করেছে। একবার ইসলামকে পরীক্ষা করুন।”

তিনি আরও বলেন, ইসলাম ও রাজনীতি আলাদা নয়। ইসলাম গরিবদের মুক্তির জন্য এসেছে। ইসলামী অর্থনীতি মূলত গরিবদের জন্য সাজানো হয়েছে। তাই ইসলাম ক্ষমতায় এলে গরিবরাই প্রথম মুক্তি পাবে।

এসময় তিনি জাতীয় নির্বাচন পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতিতে দেওয়ার দাবি জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি এম এইচ মোস্তফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকী, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে ইসলামী ধারার কিছু দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা নেতিবাচক ন্যারেটিভকে বিএনপির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মুফতি ফয়জুল করীমের বক্তব্য সেই প্রচেষ্টারই সাম্প্রতিক উদাহরণ।

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর