মিডিয়া ট্রায়ালের নয়, আইনি বিচারের দাবিতে তোফায়েল
ব্রিগেডিয়ার তোফায়েল রানা দেশে থেকে আইনি লড়াই চালাবেন এবং বিদেশে পালাবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি মানবেন, তবে মিডিয়া চাপের কারণে নিরপরাধ যেন দণ্ডিত না হয়, সে ব্যাপারেও সতর্ক করেছেন। তার বক্তব্য ন্যায়বিচার ও আইনের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
মিডিয়া ট্রায়ালের নয়, আইনি বিচারের দাবিতে তোফায়েল
ব্রিগেডিয়ার তোফায়েল মোস্তফা রানা: বিদেশে পালাব না — আইনগত লড়াই চালিয়ে ন্যায়চাওয়ার আহ্বান
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার রানা একটি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যেই থাকা সত্ত্বেও দেশে থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইনশাআল্লাহ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি দেশে থাকবেন এবং সম্মানের সঙ্গে আইনি মোকাবিলা করবেন।
তাঁর বক্তব্য থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে — “আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী ইনশাল্লাহ সব কিছু শেষে আমি তোমাদের সাথে এসে কোন এক সময় জিন্দাবাজার কিংবা আম্বরখানার কোন রেস্টুরেন্টে বসে চা খেতে পারব।” তিনি আরও বলেছেন, সেনাবাহিনীতে যোগদানের আগে বিদেশে পড়াশোনা ও মাইগ্রেশনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজ ইচ্ছায় দেশে থেকে জাতির কল্যাণে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং ভবিষ্যতেও দেশে থেকেই জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকতে চান।
বিবৃতিতে তোফায়েল রানা স্পষ্ট করেছেন যে একটি সেনাবাহিনী-সম্পর্কিত ঘটনার প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে যে ছবি ও তথ্য প্রচার হচ্ছে, সেগুলোকে তিনি ‘কর্তৃপক্ষের বা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ’ হিসেবে দেখছেন এবং নিজেকে নিরপরাধ মনে করছেন। তিনি লিখেছেন, “যেহেতু আমার জ্ঞানত আমি কোন মানুষের ক্ষতি করিনি, ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি, সেহেতু আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি একটি পরীক্ষা।” তিনি বিতর্কিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির পক্ষে নিজেরও দোয়া করবেন বলে বলেছেন, কিন্তু একই সঙ্গে মিডিয়া-চাপ ও প্রতিহিংসা দ্বারা নিরপরাধ মানুষ যেন শাস্তি না পায় সেই আশঙ্কাও তুলে ধরেছেন।
প্রকাশিত পোস্টে তোফায়েল রানা অনুরোধ করেছেন—যদি কেউ তার বিরুদ্ধে প্রমাণ পেয়ে থাকে তবে সেটি সামনে আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, “তাহলেও দোয়া করবে যেন আমার শাস্তি হয়।” পাশাপাশি তিনি অনুরোধ করেছেন যারা বিশ্বাস করেন তিনি অপরাধে মلوث নন, তারা তার দ্রুত সন্মানে ফিরে আসার জন্য দোয়া করবেন। তিনি কয়েকটি হ্যাশট্যাগও ব্যবহার করেছেন, যেমন #Justice_For_Brigadier_tofayel ও #ব্রিগেডিয়ার_তোফায়েল।
ব্রিগেডিয়ার তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার ডানপীঠ হিসেবে পরিচিত সামরিক ও বিশেষ উদ্দেশ্য বাহিনীতে পদে কর্মরত ছিলেন — তার নাম এবং সীমিত দায়িত্বকাল সম্পর্কিত তথ্য বিভিন্ন সংবাদে আলোচিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, অপহরণ/গুম সম্পর্কিত অভিযোগ এবং বিদেশ-ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিতর্কও তোলা হয়েছে। এই প্রাসঙ্গিক প্রেক্ষাপট ও সংবাদভিত্তিক তথ্যগুলো বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে।
সামরিক সূত্র ও গণমাধ্যম কোথাও কোথাও মন্তব্য করেছে যে সংবেদনশীল মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন এবং বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনমত সহযোগিতা করে থাকে — তেমন মন্তব্যও হয়েছে। তবে যেকোনো অভিযোগ ও সিদ্ধান্তের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই হবে; মিডিয়া রিপোর্টিং ও সামাজিক প্রচারণার ভিত্তিতে দোষ আস্থা করে চূড়ান্ত নির্দিষ্ট মন্তব্য করা উপযুক্ত নয়।
দাবি ও আইনগত পরিস্থিতি:
● তোফায়েল রানা বলছেন তিনি পালিয়ে যাচ্ছেন না, দেশে থেকে আইনি লড়াই চালাবেন।
● তিনি দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি গ্রহন করবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; কিন্তু একই সঙ্গে মিডিয়া-চাপের কারণে নিরপরাধদের ভুলভাবে শাস্তি না হওয়া যেনি তা দাবি করেছেন।
● তিনি অনুরোধ করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে সঠিক প্রমাণ থাকলে তা যুক্তিসঙ্গতভাবে উপস্থাপন করা হোক এবং আইনি প্রক্রিয়ায় তা যাচাই করা হোক।