বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী নিউইয়র্কে পালিত
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন মরহুম এম সাইফুর রহমানের নাতনি আমিরা রহমান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌস। এ সময় সাইফুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী নিউইয়র্কে পালিত
বাংলাদেশের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, আধুনিক অর্থনীতির স্থপতি, প্রথম সংস্কারক এবং সফল অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় নিউইয়র্কে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর (রবিবার) নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের আল আসকা রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মনজুর আহমদ চৌধুরী, উপদেষ্টা সালেহ চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সোহেব আহমদসহ প্রবাসী রাজনীতিক, সমাজসেবী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি লায়েকুল হাসান তরফদার এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আহবাব চৌধুরী খোকন।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন মরহুম এম সাইফুর রহমানের নাতনি আমিরা রহমান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গৌস। এ সময় সাইফুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন তুলে ধরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বক্তারা বলেন, এম সাইফুর রহমান ছিলেন খাঁটি দেশপ্রেমিক, সৎ ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। বিএনপি সরকারের সময় তিনি বিদেশি সাহায্যনির্ভর অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলেন। দেশের রাজস্ব আয়ের পরিধি বাড়াতে তিনি প্রবর্তন করেন ভ্যাট আইন, যা আজও বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে। বৃহত্তর সিলেটসহ সারাদেশের উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠান শেষে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় মাওলানা হাফিজ এবাদুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি, বিএনপি নেতাকর্মী এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।