তরুণদের ভবিষ্যৎ ও দেশের উন্নয়নের জন্য ট্রেড প্রশিক্ষণ ও সঠিক পথচলা জরুরি
“আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তরুণদেরকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। কেবল সার্টিফিকেট নয়, হাতে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিতে হবে। এর মাধ্যমে তারা দেশের বাইরে বা দেশের ভেতর কাজের সুযোগ পাবে এবং সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারবে।”
তরুণদের ভবিষ্যৎ ও দেশের উন্নয়নের জন্য ট্রেড প্রশিক্ষণ ও সঠিক পথচলা জরুরি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামিক কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও শার্শা আসনের মনোনীত সংসদ প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান সম্প্রতি সিএসবি নিউজ ইউএসএর স্থানীয় প্রতিনিধি শামীম আশরাফ-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শার্শা এলাকার রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, “আমাদের তরুণ সমাজ দেশের ভবিষ্যৎ। যদি তারা মাদকাসক্তির কবলে পড়ে, তবে জাতির মুক্তি অসম্ভব। এজন্য তাদেরকে সন্তানসুলভ ভালোবাসা ও ট্রেড ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে ফিরিয়ে আনা জরুরি।” তিনি আরও জানান, এক বছরের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করা সম্ভব, যাতে তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এবং ভুল নেতাদের অনুসরণ না করে।
শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা তরুণদেরকে কাজের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। কেবল সার্টিফিকেট নয়, হাতে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা দিতে হবে। এর মাধ্যমে তারা দেশের বাইরে বা দেশের ভেতর কাজের সুযোগ পাবে এবং সম্মানের সাথে জীবনযাপন করতে পারবে।”
তিনি জামাতের ভূমিকার প্রসঙ্গে বলেন, “জামাত সবসময়ই তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত, দক্ষ এবং যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। এ অঞ্চলের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও সীমান্তবর্তী অবস্থা বিবেচনায়, তরুণদের সঠিক পথে পরিচালনা করা আমাদের কর্তব্য।”
শার্শা আসনের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের কথাও তুলে ধরেন মাওলানা আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, “শার্শা বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের কাছাকাছি, যা দেশের সোনা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্য চোরাচালানের অন্যতম পথ। সীমান্তের এই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আমাদের জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণদের সঠিক পথে প্রশিক্ষণ ও নিয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।”
তিনি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সখ্যতার কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, “আমার জীবনে আমি কখনো কারো ঘৃণা শোনিনি, সব সময় মানুষের প্রতি ভালোবাসা রেখেছি। কোনো দল, মত বা ধর্মের ভেদাভেদ আমার কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। স্থানীয় মানুষ আমাকে বিশ্বাস ও ভালোবাসা দিয়েছেন, যা আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
মাওলানা আজিজুর রহমান আরও বলেন, “১৯৭১ সালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আমাদের দেশকে গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। তবে আমাদের তখনকার রাজনৈতিক ভুল ছিল, তবে কোনো বেআইনি বা অন্যায় কাজ আমরা করিনি। বর্তমান প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে।”
শার্শা আসন কেবল রাজনৈতিক দিক থেকে নয়, ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সোনা ও অন্যান্য মাদক চোরাচালানের সমস্যা রয়েছে, যা সীমান্ত নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। মাওলানা আজিজুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী, তরুণদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা, শিক্ষা ও ট্রেড প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মাদক ও অন্যায় কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা এই এলাকার ভবিষ্যৎ ও দেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি।