সাংস্কৃতিক ভিন্নতাই শক্তি: বার্সেলোনায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক নীতি ফোরামে ফারুকী
সম্প্রতি আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একত্রে নববর্ষ উদযাপন করেছে—যা গত ৫৪ বছরে ঘটেনি। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সরকার নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক নীতি অনুসরণ করছে। এ বছর দুর্গাপূজা, ঈদ ও বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত উদ্যোগ এ নীতির প্রমাণ বহন করে।
সাংস্কৃতিক ভিন্নতাই শক্তি: বার্সেলোনায় বিশ্ব সাংস্কৃতিক নীতি ফোরামে ফারুকী
বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বলেছেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনই আনেনি, বরং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ভিন্নতাগুলোকে শক্তিতে রূপান্তরিত করেছে। তার মতে, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত সাংস্কৃতিক বিভাজন সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব বিভাজন নিরসনে কাজ করছে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সাংস্কৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছে।
তিনি এ কথা বলেন সোমবার স্পেনের বার্সেলোনায় শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী বিশ্ব সাংস্কৃতিক নীতি ফোরামের (MONDIACULT 2025) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ ফোরামের উদ্বোধন করেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেজ।
ফারুকী উদাহরণ টেনে বলেন, সম্প্রতি আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রায় সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ একত্রে নববর্ষ উদযাপন করেছে—যা গত ৫৪ বছরে ঘটেনি। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে সরকার নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক নীতি অনুসরণ করছে। এ বছর দুর্গাপূজা, ঈদ ও বুদ্ধ পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত উদ্যোগ এ নীতির প্রমাণ বহন করে।
বাংলাদেশি উপদেষ্টা আরও বলেন, সাংস্কৃতিক খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উদ্ভাবনী অর্থায়নের গুরুত্ব রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান ডিজিটাল মাধ্যম ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে সাংস্কৃতিক কনটেন্ট প্রচারে এগিয়ে আসার জন্য।
বিশ্বের শতাধিক সংস্কৃতি মন্ত্রী ও নীতি নির্ধারকের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ বৃহৎ সম্মেলনে ফিনল্যান্ড, প্যারাগুয়ে, মাল্টা ও পোল্যান্ডের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সাংস্কৃতিক নীতি নির্ধারকদের সবচেয়ে বড় এ সমাবেশ আগামী ১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হবে।