ধ্বংসের স্মৃতি: ৫ ফেব্রুয়ারি ভেঙ্গে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২, ১৫ আগস্টের বেদনায় নতুন দাগ

সেই বাড়ি ছিল শুধু ইট-পাথরের নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জীবন্ত স্মৃতি। প্রতিটি দেয়াল, ঘর, বারান্দা—সেখানে লুকিয়ে ছিল মুক্তির সংগ্রাম, ভালোবাসা, পরিবারিক মুহূর্ত এবং নিঃসঙ্গ বেদনার চিহ্ন। আজ তা আর নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “দেয়াল ভাঙার সঙ্গে ভেঙে গেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি অংশও।”

PostImage

ধ্বংসের স্মৃতি: ৫ ফেব্রুয়ারি ভেঙ্গে দেওয়া হলো বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২, ১৫ আগস্টের বেদনায় নতুন দাগ


আজ ১৫ আগস্ট, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থাপতি শেখ মুজিবুর রহমান সহ সপরিবারে হত্যার অর্ধশতবর্ষ। কিন্তু এ বছর শোকের সঙ্গে একটি নতুন আঘাতও রয়েছে। ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ রাতে ভেঙ্গে দেওয়া হলো সেই ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বাড়িটি, যেখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।

সেই বাড়ি ছিল শুধু ইট-পাথরের নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জীবন্ত স্মৃতি। প্রতিটি দেয়াল, ঘর, বারান্দা—সেখানে লুকিয়ে ছিল মুক্তির সংগ্রাম, ভালোবাসা, পরিবারিক মুহূর্ত এবং নিঃসঙ্গ বেদনার চিহ্ন। আজ তা আর নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “দেয়াল ভাঙার সঙ্গে ভেঙে গেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের একটি অংশও।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার রাতের ভয়াবহতা এবং সেই ঘরে পরিবারের শেষ নিঃশ্বাসের স্মৃতি এখন শুধু ছবির ফ্রেম, কাগজের প্রতিবেদনে এবং জাতির স্মৃতিতে বেঁচে আছে। ছোট শিশু শেখ রাসেলের ঘর, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের শেষ নিঃশ্বাসের মুহূর্ত—সব কিছু এখন মাটির সাথে মিশে গেছে।

রাষ্ট্রীয় শোক দিবস বর্তমান সরকার বাতিল করেছে। এখানে পূর্বে সকালে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাতেন। সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক নেতারা এবং তরুণ প্রজন্ম, যারা কেবল ইতিহাসের পাতায় পড়েছে, তারা সবাই চোখে অশ্রু নিয়ে স্মরণ করতেন সেই ভয়ানক রাত।

আজ ৫০ বছর পরও শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার শোক পালন করছে না তার অনুসারীরা; তার অনুভব করছে ইতিহাসকে হারানোর বেদনা। ধানমন্ডি ৩২-এর ধ্বংস যেন একবার আরও মনে করিয়ে দিচ্ছে—স্বাধীনতার স্থপতির জীবন ও আত্মত্যাগের স্মৃতি কোনোমতেই ভুলে যাওয়ার নয়।

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর