“দিদারুল ইসলামের সাহসী ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

নিউইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ

PostImage

“দিদারুল ইসলামের সাহসী ত্যাগকে শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস


যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে (Didarul Islam) জুলাই মাসে এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) অধ্যাপক ইউনূসের হোটেলে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারে তিনি দিদারুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদেরকে সম্মান হিসেবে একটি ক্রেস্ট (Crest) হস্তান্তর করেন।

সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন দিদারুল ইসলামের বাবা মোহাম্মদ আব্দুর রাব, মা মীনারা বেগম, দুই পুত্র আয়হান ইসলাম ও আজহান ইসলাম, ভাই কামরুল হাসান, ভাগ্নে আদিয়ান হাসান, বোন নাদিমা বেগম এবং চাচা আহমেদ জামাল উদ্দিন। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (NCP) সদস্য-সচিব আখতার হোসেন এবং প্রথম সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডঃ তাসনিম জারা, যারা প্রধান উপদেষ্টার সাথে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ছিলেন, তাঁরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমি সংবাদপত্রে ঘটনাটি পড়েছি এবং গভীরভাবে শোকাহত হয়েছি। কিভাবে এমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে, তা আমি কল্পনা করতে পারিনি।” তিনি আরও বলেন, “টেলিভিশনে আমি তার শেষ বিদায়ের সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখেছি। তিনি সবার কাছ থেকে অপরিসীম সম্মান ও ভালোবাসা পেয়েছিলেন। নিউইয়র্কে আসার সময় আমি অনুভব করেছি, আপনাদের সঙ্গে দেখা করা আমার জন্য অপরিহার্য।”

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দিদারুল ইসলাম একজন নিবেদিতপ্রাণ ও অত্যন্ত প্রশংসিত পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০২১ সালে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যোগদান করেন এবং ব্রঙ্কসের ৪৭ নম্বর প্রিসিঙ্ক্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাঁর মৃত্যুর সময় তিনি দুই পুত্র রেখে গেছেন।

জুলাই ২৮, ২০২৫-এ পার্ক অ্যাভিনিউ, মানহাটনে এক বন্দুকধারী উচ্চ-উচ্চতার কর্পোরেট ভবনে ঢুকে অযথা গুলি চালানোর সময় দিদারুল ইসলাম হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে নিহত হন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীকে রোধ করার সময় দিদারুলের দেহে ৮ থেকে ১০টি গুলির আঘাত ছিল।

দিদারুল ইসলামের সাহসী কর্মসংগ্রাম এবং জনগণকে রক্ষার জন্য জীবন উৎসর্গের এই ঘটনা নিউইয়র্কবাসী ও বাংলাদেশি কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছাপ ফেলেছে।

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর