লংগদুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় রক্ষা পেল মাইনি বাজার
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের পর স্থানীয় জনগণ সেনাসদস্যদের দ্রুত পদক্ষেপ ও ত্যাগী মনোভাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা জানান, সেনাবাহিনী না এলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণে বাড়ত।
লংগদুতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সেনাবাহিনীর তৎপরতায় রক্ষা পেল মাইনি বাজার
বাংলাদেশের রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনি বাজারে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে লঞ্চঘাট সংলগ্ন হোটেল নিসার রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী দোকানগুলোতে এবং তা দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
খবর পেয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লংগদু জোনের ভারপ্রাপ্ত টু-আইসি মেজর রিফাত উদ্দিন লিয়নের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জন সেনাসদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ঘন ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখার মধ্যেও তারা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে উদ্ধারকাজে অংশ নেন। সেনাসদস্যদের পাশাপাশি লংগদু ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরাও অগ্নিনির্বাপণে অংশ নেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টার পর বিকেল ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১২-১৫টি দোকান, একটি বসতবাড়ি, একটি ভাঙারির দোকান, চায়ের দোকান, একটি দুইতলা গুদাম এবং একটি হোস্টেল সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে লংগদু জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মীর মোর্শেদ, এসপিপি, পিএসসি বলেন,
“বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় দেশের জনগণের পাশে আছে। দুর্যোগ কিংবা যেকোনো সংকটকালীন পরিস্থিতিতে জীবন বাজি রেখে আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাব।”
অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের পর স্থানীয় জনগণ সেনাসদস্যদের দ্রুত পদক্ষেপ ও ত্যাগী মনোভাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা জানান, সেনাবাহিনী না এলে আগুন আরও ভয়াবহ রূপ নিত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণে বাড়ত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো—বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু সীমান্তরক্ষা বা নিরাপত্তা কার্যক্রমেই নয়, বরং দুর্যোগ ও সংকটকালীন প্রতিটি মুহূর্তে জনগণের সবচেয়ে বড় ভরসাস্থল।