১৭ বছর পর গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শার্শার উন্নয়ন ভাবনা

কিছু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও তাদের অনলাইন নেটওয়ার্ক বিএনপিকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে ছোট করার চেষ্টা করছে। “জামায়াতে ইসলামী সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপিকে জনগণের চোখে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে চায়,”

PostImage

১৭ বছর পর গণতান্ত্রিক পরিবেশে বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শার্শার উন্নয়ন ভাবনা


দীর্ঘ ১৭ বছর পর ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন

তিনি বলেন, “প্রথমেই আমরা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। দীর্ঘ সংগ্রামের পর বাংলাদেশে একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে, যেখানে জনগণ শান্তিতে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছে।”

নুরুজ্জামান লিটন জানান, বিএনপি সবসময় দেশের জনগণের পাশে থেকেছে এবং মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করেছে।
তিনি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গঠিত বিএনপি কখনোই চাঁদাবাজি বা দখলদারদের প্রশ্রয় দেয় না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা একটি চাঁদাবাজ-মুক্ত, সুশাসিত বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, কিছু ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও তাদের অনলাইন নেটওয়ার্ক বিএনপিকে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার মাধ্যমে ছোট করার চেষ্টা করছে।
জামায়াতে ইসলামী সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপিকে জনগণের চোখে অগ্রহণযোগ্য করে তুলতে চায়,” বলেন লিটন।


শার্শার উন্নয়ন পরিকল্পনা

শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র উল্লেখ করে নুরুজ্জামান লিটন বলেন,
“এই অঞ্চলে অধিকাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর ও বেকার। আমরা চাই, এখানকার যুবসমাজকে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে। তারেক রহমান ইতোমধ্যে ‘তিন দফা কর্মসূচি’র মাধ্যমে বেকারদের জন্য ভাতা ও প্রশিক্ষণভিত্তিক কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”

তিনি আরও জানান, নির্বাচিত হলে তিনি শার্শায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবেন।


যুব সমাজকে আকৃষ্ট করতে বিএনপির পরিকল্পনা

২০২৪ সালের নির্বাচনে যুব ও ছাত্র সমাজকে প্রধান ভোটব্যাংক হিসেবে বিবেচনা করছে বিএনপি।
এ বিষয়ে লিটন বলেন, “যুব উন্নয়ন যে ধারণাটি—সেটি শহীদ জিয়াউর রহমানের সৃষ্টি। তাই আমরা যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে চাই, যাতে তারা সমাজে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পারে।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বেনাপোল স্থলবন্দরকে কেন্দ্র করে শার্শা উপজেলার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জাতীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্ন রাখতে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা অপরিহার্য।

নুরুজ্জামান লিটনের মতে, “শার্শা শুধু সীমান্ত নয়—এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার। এখানকার স্থিতিশীলতা মানে পুরো দেশের উন্নয়ন।”

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর