অবৈধ শ্রমিক গ্রেপ্তার সঠিক, তবে দক্ষ বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রাখা প্রয়োজন
তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, অবৈধভাবে দেশে থাকা শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা আইসিই-এর (ICE) সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। “আমাদের অবশ্যই এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এসে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দেন এবং পরে আমেরিকানরাই সেই কাজ করতে পারে,” বলেন তিনি।
অবৈধ শ্রমিক গ্রেপ্তার সঠিক, তবে দক্ষ বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রাখা প্রয়োজন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জর্জিয়ার হিউন্দাই ব্যাটারি প্ল্যান্টে অবৈধভাবে কাজ করা দক্ষিণ কোরিয়ান শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা সঠিক পদক্ষেপ হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত শিল্প খাতে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষ বিদেশি বিশেষজ্ঞদের অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস (HSI) জানিয়েছে, নির্মাণাধীন ওই প্ল্যান্ট থেকে মোট ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—যাদের বেশিরভাগই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। হিউন্দাই জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি কারখানার মালিক হলেও গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের কেউই কোম্পানির সরাসরি কর্মচারী নন।
রবিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাটারি নির্মাণে অভিজ্ঞ লোক নেই, তাই বিদেশি বিশেষজ্ঞদের এনে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তিনি বলেন, “যদি এখন আমাদের দেশে ব্যাটারি প্রযুক্তি জানা মানুষ না থাকে, তাহলে হয়তো তাদের একটু সাহায্য করা উচিত…।” তিনি আরও যোগ করেন, জাহাজ নির্মাণ এবং কম্পিউটার ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো শিল্পেও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের প্রয়োজন।
তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেন, অবৈধভাবে দেশে থাকা শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা আইসিই-এর (ICE) সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক। “আমাদের অবশ্যই এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এসে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দেন এবং পরে আমেরিকানরাই সেই কাজ করতে পারে,” বলেন তিনি।
পরে ট্রুথ সোশালে এক বার্তায় ট্রাম্প বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অভিবাসন আইন মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন:
“আপনাদের বিনিয়োগ আমরা স্বাগত জানাই। আপনারা বৈধভাবে দক্ষ ও মেধাবী মানুষকে নিয়ে আসুন, যারা বিশ্বমানের পণ্য তৈরি করতে পারে। আমরা সেটিকে দ্রুত ও বৈধভাবে সম্ভব করব। এর বিনিময়ে আমরা শুধু চাই, আপনারা আমেরিকান কর্মীদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিন।”
অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ব্যাপক এ অভিযানে “উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ” করেছে। প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর কার্যালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে শত শত আটক শ্রমিককে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শিগগিরই একটি চার্টার বিমান পাঠানো হবে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস প্রধান স্টিভেন শ্রাঙ্ক জানিয়েছেন, আটককৃতদের কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন, কেউ ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করেছেন, আবার কেউ ভিসা ওয়েভারের মাধ্যমে এসেছিলেন যেখানে কাজ করার অনুমতি ছিল না। অধিকাংশ শ্রমিক হিউন্দাই প্ল্যান্টে কাজ করা সাব-কন্ট্রাক্টরদের অধীনে নিয়োজিত ছিলেন।
জর্জিয়ার এই অভিযান ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির সময়কার অন্যতম বৃহত্তম কর্মক্ষেত্রভিত্তিক আইন প্রয়োগ কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যা অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানেরই প্রতিফলন।