ট্রাম্প: শান্তির স্থপতি, নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্যতম প্রার্থী

ট্রাম্প নিজেই দাবি করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে অন্তত সাতটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তি শুধু ইসরায়েল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক বদলে দেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক ভূরাজনীতিতেও নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। একইসঙ্গে আফ্রিকার সুদান-ইথিওপিয়া সংঘাত প্রশমিত করা, কসোভো-সার্বিয়া আলোচনায় অগ্রগতি আনা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ উত্সাহিত করায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।

PostImage

ট্রাম্প: শান্তির স্থপতি, নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্যতম প্রার্থী


ওয়াশিংটন/অসলো │ অক্টোবর ২০২৫ — মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজকের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নোবেল শান্তি পুরস্কারের অন্যতম যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়। মধ্যপ্রাচ্যের আব্রাহাম চুক্তি, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি প্রচেষ্টা, আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ নিরসন ও ইউরোপে নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ—সব মিলিয়ে ট্রাম্পকে অনেকেই অভিহিত করছেন “আধুনিক যুগের অন্যতম শান্তির দূত” হিসেবে। তবুও, নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি তাঁকে পুরস্কৃত করতে দ্বিধায় ভুগছে, যা রাজনৈতিক পক্ষপাতের আশঙ্কা জাগাচ্ছে।

ট্রাম্প নিজেই দাবি করেছেন, তাঁর নেতৃত্বে অন্তত সাতটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটেছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত আব্রাহাম চুক্তি শুধু ইসরায়েল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক বদলে দেয়নি, বরং মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক ভূরাজনীতিতেও নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। একইসঙ্গে আফ্রিকার সুদান-ইথিওপিয়া সংঘাত প্রশমিত করা, কসোভো-সার্বিয়া আলোচনায় অগ্রগতি আনা এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ উত্সাহিত করায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত হয়েছে।

ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং আফ্রিকার একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য ও কূটনীতিকরাও একবাক্যে বলছেন—“শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।” আন্তর্জাতিক মহলের বিশাল অংশ বিশ্বাস করে, যদি নোবেল কমিটি সত্যিকার অর্থে শান্তি প্রচেষ্টা ও বৈশ্বিক প্রভাবকে পুরস্কৃত করতে চায়, তবে ট্রাম্পকেই স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।

নরওয়ের রাজনৈতিক দ্বিধা

তবে অসলোতে ভিন্ন চিত্র। নরওয়ের রাজনৈতিক মহল এবং নোবেল কমিটির কিছু সদস্য মনে করেন, ট্রাম্পকে পুরস্কার দিলে কমিটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত বলে সমালোচিত হতে পারে। অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক নিনা গ্রেগার বলেন, “নোবেল পুরস্কার শুধু সম্মান নয়, এটি প্রায়ই একটি নৈতিক বার্তাও পাঠায়।” ইতিহাসে দেখা গেছে, কমিটি হিটলারবিরোধী অবস্থান বা জর্জ বুশের ইরাক যুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ডের মতো ইস্যুতেও পুরস্কারকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করেছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই কৌশল কি সত্যিকারের শান্তি প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করার অজুহাত হতে পারে?

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, নোবেল কমিটি আসলে রাজনৈতিক নিরাপত্তা খুঁজছে। তাদের মূল লক্ষ্য নিজেদের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ধরে রাখা, যদিও এর ফলে প্রকৃত অবদানকারীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, যদি ট্রাম্পের মতো একজন নেতা, যিনি বাস্তবে যুদ্ধ কমিয়েছেন এবং চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছেন, নোবেল না পান, তবে পুরস্কারের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠবে।

বাস্তবতা হলো—ট্রাম্প এখনকার সময়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। কিন্তু নোবেল কমিটি তাঁকে পুরস্কৃত করলে রাজনৈতিক সমালোচনা ও বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার ভয় পাচ্ছে। এই দ্বিধা কেবল নোবেলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে না, বরং বিশ্বের চোখে এটিকে আরও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তুলে ধরছে।

শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের ভূমিকা ইতিহাসে স্বীকৃত হচ্ছে। প্রশ্ন কেবল একটাই—নোবেল কমিটি কি সাহস দেখাবে, নাকি রাজনৈতিক ভয়েই একজন যোগ্য নেতাকে উপেক্ষা করবে?

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর