পাকিস্তান সেনাবাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ—ভারতের জিংগোয়িস্টিক মন্তব্যে “নতুন নিয়ম” হিসেবে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি

“পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার” ধরনের বক্তৃতা উঠে এসেছে, আইএসপিআর সতর্ক করেছে যে এমন কোনও পরিস্থিতি সামনে এলে “মুছিয়ে ফেলা পারস্পরিক হবে” এবং পাকিস্তান “দেখিয়ে দেবে” যে তার প্রতিক্রিয়া এখন নতুন মাত্রায় — দ্রুত, সিদ্ধান্তগ্রস্ত ও বিধ্বংসী।

PostImage

পাকিস্তান সেনাবাহিনী উদ্বেগ প্রকাশ—ভারতের জিংগোয়িস্টিক মন্তব্যে “নতুন নিয়ম” হিসেবে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি


 পাকিস্তানের সেনা মিডিয়া উইং(ISPR) শনিবার ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক উচ্চপদস্থদের ‘উত্তেজক ও জিংগোয়িস্টিক’ মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সতর্ক করেছে যে এ ধরনের বাগাড়ম্বর নতুন অজুহাত তৈরি করে আগ্রাসনের পথ প্রশস্ত করতে পারে এবং দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি-স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

আইএসপিআর বলছে, “দীর্ঘদিন ধরে ভারত 'ভিকটিম'র ভূমিকা পালন করে এবং পাকিস্তানকে নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করে এসেছে; কিন্তু এখন বিশ্ব বুঝতে শুরু করেছে যে সীমান্তপেরিয়ে অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর ভূমিকাই প্রকৃত সমস্যা।” তাদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে এ বছর ভারতের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড দুই পরমাণু শক্তিকে বড় সংঘাতের মুখে নিয়ে এসেছিল—এ প্রসঙ্গে উভয় পক্ষের গত বছরের/বৎসরের আকাশসংঘাতের স্মৃতি উল্লেখ করা হয়েছে। 

রসিক বা ধমক-ধামকি হিসেবে যতসংক্রান্ত “পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার” ধরনের বক্তৃতা উঠে এসেছে, আইএসপিআর সতর্ক করেছে যে এমন কোনও পরিস্থিতি সামনে এলে “মুছিয়ে ফেলা পারস্পরিক হবে” এবং পাকিস্তান “দেখিয়ে দেবে” যে তার প্রতিক্রিয়া এখন নতুন মাত্রায় — দ্রুত, সিদ্ধান্তগ্রস্ত ও বিধ্বংসী।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী এবং জনগণের সক্ষমতা ও সংকল্প রয়েছে “শত্রুর ভূখণ্ডের প্রতিটি কোণে লড়াই পৌঁছে দেওয়ার” — এবারের বার্তায় ভূগোলগত নিরাপত্তার ধারনাকে ভাঙার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। সেনা মুখপাত্র এই নতুন কণ্ঠস্বরকে ‘নতুন নিয়ম’ বলে অভিহিত করেছেন। 

পাশাপাশি আইএসপিআর ভারতের সামরিক ও বেসামরিক নেতৃত্বের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক’ বলে উল্লেখ করে, এমন কণ্ঠ যাতে কৌশলে আগ্রাসনের জড় Oberfläche তৈরি করে—এ ধরনের অজুহাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগ্রহী নজরে আনে এবং সমগ্র অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য ঝুঁকি বাড়ায়। 

এই বিবৃতির প্রেক্ষিতে ভারতের প্রতিক্রিয়া বা নতুন কোনও উদ্যোগ সম্পর্কে তৎক্ষণাৎ কিছু জানায়নি; তবে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং অঞ্চলীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন—দুই পার্শ্বকে বিবেচনায় নিয়ে কূটনৈতিক চ্যানেল খোলা রাখা এবং উত্তেজনা কমাতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের ভূমিকা জরুরি। রাজনৈতিক নেতাদের বিবেচনাসূচক বক্তব্য এবং সেনাপ্রধানদের কড়া কণ্ঠের মধ্যে কিভাবে ভারসাম্য বজায় থাকবে, তা আগামী দিনের বড় প্রশ্ন। 

(সূত্র: ডন, রয়টার্স, দি নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জিও টিভি ও দ্য নিউসসহ গণমাধ্যম প্রতিবেদন।)

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর