স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ট্রাম্পের পদক্ষেপ

হোয়াইট হাউসের দাবি, প্রেসিডেন্ট তাঁর নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আইনগত সীমার মধ্যেই কাজ করছেন। প্রশাসনের মতে, মোনারেজ ও প্রাইমাস ট্রাম্পের নীতি-অভিযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলেন না। সিডিসিকে মূল মিশনে ফেরাতে এবং রাষ্ট্রীয় নীতি নতুনভাবে সাজাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

PostImage

স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে ট্রাম্পের পদক্ষেপ


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। রাষ্ট্রীয় নীতি, স্বাস্থ্যনীতি ও অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করে বিশ্বে আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করাই তাঁর লক্ষ্য।

মাত্র তিন দিনে তিনি বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন—ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক সুসান মোনারেজ এবং রেল নিয়ন্ত্রক রবার্ট প্রাইমাসকে বরখাস্ত করেছেন। এভাবে সাধারণত রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সংস্থাগুলোতেও নিজের প্রভাব বিস্তার করে ট্রাম্প দেখিয়ে দিচ্ছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ এখন শক্ত হাতে নেতৃত্বাধীন।

হোয়াইট হাউসের দাবি, প্রেসিডেন্ট তাঁর নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আইনগত সীমার মধ্যেই কাজ করছেন। প্রশাসনের মতে, মোনারেজ ও প্রাইমাস ট্রাম্পের নীতি-অভিযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলেন না। সিডিসিকে মূল মিশনে ফেরাতে এবং রাষ্ট্রীয় নীতি নতুনভাবে সাজাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন—শিগগিরই ফেড বোর্ড অব গভর্নর্সে তাঁর অনুগত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হবে। সুদের হার কমিয়ে অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কমিয়ে আনলেও ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, শক্ত নেতৃত্ব ও পূর্ণ নিয়ন্ত্রণই আমেরিকাকে আবারও শ্রেষ্ঠ করবে।

সিএসবি নিউজ-এর আরও খবর