ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সাফল্য নাকি নতুন ঝুঁকি?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তি চুক্তি সম্পন্ন করে বড় কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন ইসরায়েলি নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে পরিকল্পনার প্রতি অটল রাখা ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সাফল্য নাকি নতুন ঝুঁকি?
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ট্রাম্পের সাফল্য — কিন্তু নেতানিয়াহুকে কি ধরে রাখতে পারবেন তিনি?
ওয়াশিংটন, ১৪ অক্টোবর (রয়টার্স) — মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার মিশরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি করিয়ে এক বড় কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছেন। এটি ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় বৈদেশিক অর্জনগুলোর একটি, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন—ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থন ধরে রাখা তার জন্য কঠিন হতে পারে।
ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় হামাসকে সব ইসরায়েলি জিম্মি ফেরত দিতে রাজি করানো হলেও অনেক বিষয় এখনো অনির্ধারিত—বিশেষ করে হামাস নিরস্ত্র হবে কিনা এবং গাজা শাসনে কোনো ভূমিকা রাখবে কিনা। এই অস্পষ্টতা চুক্তি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নেতানিয়াহুর কট্টর ডানপন্থী সহযোগীরা, যেমন ইটামার বেন-গভির ও বেজালেল স্মোটরিচ, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সমালোচনা করেছেন এবং সরকার থেকে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনের প্রাক্কালে নেতানিয়াহু রাজনৈতিক চাপে পড়তে পারেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের প্রতি ট্রাম্পের অবিচল সমর্থন — যেমন জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি — তাকে নেতানিয়াহুর ওপর প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করেছে। তবে সিরিয়া ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় অতীতে তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইসরায়েলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। “ট্রাম্প চাইলে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে পারেন, আবার ধ্বংসও করতে পারেন,” বলেন ওয়াশিংটনের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ জন অলটারম্যান।
তবে উত্তেজনা এখনো রয়ে গেছে। হামাস নিরস্ত্র হওয়ার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি দেয়নি, অন্যদিকে অধিকাংশ ইসরায়েলি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ধারণা প্রত্যাখ্যান করছেন। এই অবস্থায় চুক্তির বাস্তবায়ন ব্যর্থ হলে আবারও সংঘাত শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কূটনীতিকরা।