চীনা প্রযুক্তির শক্তিতে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সমুদ্র দাপট
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক এখন এক নতুন উচ্চতায়।
চীনা প্রযুক্তির শক্তিতে পাকিস্তান নৌবাহিনীর সমুদ্র দাপট
দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে চীনা প্রযুক্তির আধিপত্য নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে। তবে এবার সমুদ্রযুদ্ধে সেই প্রযুক্তির প্রকৃত শক্তি ও নিখুঁততা প্রদর্শনের পালা আসছে পাকিস্তান নৌবাহিনীর। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তান নৌবাহিনী চীনা ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধ ব্যবস্থা ব্যবহার শুরু করলে ভারত মহাসাগর এবং আরব সাগরে শক্তির ভারসাম্যে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের উন্নত নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, রাডার সনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং সাবমেরিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের হাতে আসলে এটি শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নয়, আঞ্চলিক কৌশলগত অবস্থানে বড় পরিবর্তন আনবে। “যখন এই আগ্নেয় শক্তি কথা বলবে, তখন বহু দেশের সামুদ্রিক মতবাদ কেঁপে উঠবে,” বলেছেন এক সামরিক বিশ্লেষক।
চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌথ মহড়া, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক এখন এক নতুন উচ্চতায়।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোতে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান নৌবাহিনী ইতিমধ্যে চীনা তৈরি Type 054A/P ফ্রিগেট ও CM-302 সুপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর ফলে পাকিস্তানের সমুদ্র প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিবর্তন শুধু দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্য নয়, বরং ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের জন্যও নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।