ইরান ও রাশিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধি ৩৫%; মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে ইউরেশিয়া চুক্তি বাস্তবায়ন
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক মস্কোতে ইরানের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে জানান, “মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাশিয়া-ইরান বাণিজ্যিক লেনদেন ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে তেহরান-মস্কো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
ইরান ও রাশিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধি ৩৫%; মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে ইউরেশিয়া চুক্তি বাস্তবায়ন
তেহরান/মস্কো: ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছর থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইরানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞার পরেও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছে।
ইরানের শিল্প, খনি ও বাণিজ্যমন্ত্রী সাইয়েদ মোহাম্মদ আতাবাক বলেন, “ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে এই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হওয়ার ফলে তেহরান ও ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হবে।” বৈঠকের সময় ইরান এই ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের বাণিজ্যমন্ত্রী আন্দ্রে স্লেপনেভও বলেন, “ইউরেশিয়ান ইউনিয়ন ইরানের সঙ্গে সহযোগিতা শুধু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে সীমাবদ্ধ রাখছে না, বরং বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে।”
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সেই ওভারচুক মস্কোতে ইরানের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে জানান, “মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাশিয়া-ইরান বাণিজ্যিক লেনদেন ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে তেহরান-মস্কো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও একতরফা অর্থনৈতিক চাপ সত্ত্বেও ইরান রাশিয়া ও ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করে পশ্চিমা অর্থনৈতিক প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে।
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট: চীনের বহুপাক্ষিক বাণিজ্য অবদান
জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ৮০তম বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং বলেন, “চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আলোচনায় কোনো বিশেষ সুবিধা দাবি করবে না। বিগত দুই দশকে চীন বৈশ্বিক বাণিজ্যে স্বাধীনতা, বহুপাক্ষিক চুক্তি ও বাণিজ্য সহজীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও চীনের এই অবস্থান মার্কিন একতরফা অর্থনৈতিক নীতি ও চাপকে আন্তর্জাতিকভাবে সীমিত করার প্রচেষ্টার অংশ।