ট্রাম্প বললেন, পুতিন তাকে হতাশ করেছেন
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিন ট্রাম্প এক ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি বা ব্রিটেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করেননি, তবে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ব্যবহার করার প্রস্তাব দেন।
ট্রাম্প বললেন, পুতিন তাকে হতাশ করেছেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আশা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। কিন্তু পুতিনের কর্মকাণ্ড তা সম্ভব করেনি।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিন ট্রাম্প এক ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি বা ব্রিটেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করেননি, তবে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ব্যবহার করার প্রস্তাব দেন।
পুতিন সম্পর্কে ট্রাম্প বলেন, “তিনি আমাকে হতাশ করেছেন। রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনীয় সেনাদের চেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে।”
সফরের শেষে ট্রাম্প ব্রিটেন, রাজপরিবার এবং স্টারমারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজা চার্লস ও রানি ক্যমিলার আয়োজিত সংবর্ধনা আমাদের জন্য এক অসাধারণ সম্মান।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বায়ুবিদ্যুৎকে “ব্যয়বহুল প্রহসন”, জিমি কিমেলকে “প্রতিভাহীন” এবং জো বাইডেনকে “সর্বদা উজ্জ্বল ছিলেন না” বলে মন্তব্য করেছেন।
ছোট নৌকায় আসা অভিবাসীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেকোনো উপায় ব্যবহার করুন, এটা ভেতর থেকে দেশকে ধ্বংস করে।”
স্টারমারের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল ট্রাম্পকে পুতিনের দিকে দৃষ্টি ঘোরানো, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। ট্রাম্প বলেছেন, “পুতিন যদি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বকে সম্মান করতেন, তিনি এ ধরনের কাজ করতেন না।”
তবে ট্রাম্প আরও নিষেধাজ্ঞার পক্ষে যাননি। তিনি ইউরোপ ও ভারতের রুশ তেল আমদানির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “যদি তেলের দাম কমে যায়, পুতিন যুদ্ধ থেকে সরে যাবেন।”