দর্শক হারানো হলের বিকল্প পথ — বিশ্ব সিনেমার অঙ্গনে প্রবেশের টিকিট Dot
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের দর্শকসংখ্যা কমে আসছে, বিশেষ করে সিনেমা হলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় প্রেক্ষাগৃহের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ হারাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণে স্থবিরতা দেখা দিলেও, আন্তর্জাতিক বাজারকে লক্ষ্য করে “ডট” চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগকে শিল্পী-কলাকৌশলীরা সাহসী ও অনুকরণীয় বলে মনে করছেন।
দর্শক হারানো হলের বিকল্প পথ — বিশ্ব সিনেমার অঙ্গনে প্রবেশের টিকিট Dot
ঢাকা, ২১ আগস্ট ২০২৫ — বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পূর্ণদৈর্ঘ্য ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র “ডট” আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বারুয়া সুনন্দা কাকন এবং প্রযোজনা করেছে টরি মিডিয়া লিমিটেড।
চলচ্চিত্রটির প্রযোজক হিসেবে আছেন বারুয়া মনোজিত ধিমান ও মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন। গত ৩ আগস্ট চলচ্চিত্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র লাভ করে।
অভিনয়ে আছেন বারুয়া মনোজিত ধিমান নিজেই, পাশাপাশি পরি, রাজিবুল ইসলাম, সোনিয়া পারভিন শাপলা, মামুন, মোস্তাফিজুর রহমান, কথা চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, মাসুদ চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল বারিক মুকুল, স্যান্ডি কুমার ও মিষ্টি মনিসহ আরও অনেকে।
প্রযোজক ও অভিনেতা বারুয়া মনোজিত ধিমান বলেন, “আমরা চলচ্চিত্রটি ইংরেজিতে নির্মাণ করেছি আন্তর্জাতিকভাবে প্রদর্শনের লক্ষ্যেই।” যদিও চলচ্চিত্রটি ইংরেজি ভাষায় নির্মিত, তবে দর্শকদের সুবিধার্থে বাংলায় সাবটাইটেল সংযুক্ত করা হয়েছে।
চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য ২ ঘণ্টা ৮ মিনিট। পরিচালক বারুয়া সুনন্দা কাকন জানান, “এই চলচ্চিত্রের আসল শক্তি এর কাহিনীতেই। এটি একটি কাহিনীনির্ভর চলচ্চিত্র।”
“ডট” ছবির শুটিং হয়েছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়, যা একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্পকে দেশীয় আবহে উপস্থাপন করেছে।
সংকটের মধ্যেও সাহসী উদ্যোগ
বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রের দর্শকসংখ্যা কমে আসছে, বিশেষ করে সিনেমা হলের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় প্রেক্ষাগৃহের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ হারাচ্ছে। এমন বাস্তবতায় বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণে স্থবিরতা দেখা দিলেও, আন্তর্জাতিক বাজারকে লক্ষ্য করে “ডট” চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগকে শিল্পী-কলাকৌশলীরা সাহসী ও অনুকরণীয় বলে মনে করছেন।
চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রযোজক বারুয়া মনোজিত ধিমান ও মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেনের এই উদ্যোগকে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেখানে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের উপস্থিতি সীমিত, সেখানে ইংরেজি ভাষায় নির্মিত “ডট” বাংলাদেশের সিনেমাকে নতুনভাবে পরিচিত করার সুযোগ করে দেবে।
সার্বিকভাবে, “ডট” শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলেই বিবেচিত হচ্ছে।