রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বহু বছর ধরেই বৈশ্বিক অঙ্গনে একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, তাই যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া ইউক্রেন সংঘাত সমাধান করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “পুতিন ইতিমধ্যেই বিশ্বমঞ্চে আছেন। তাঁর হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে। তিনি অনেক আগেই বিশ্বমঞ্চে এসেছেন।”
রুবিও আরও বলেন, “অনেকে বলে থাকেন, ‘আহা, এতে তাঁকে আরও উচ্চতায় তুলে ধরা হয়।’ অথচ আমরা প্রতিদিনই তো পুতিনের কথাই বলি। গত চার–পাঁচ বছর ধরে গণমাধ্যম সবসময় পুতিনকেই আলোচনায় রেখেছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি চুক্তি হবে না, যুদ্ধও শেষ হবে না যদি পুতিনকে বাদ দিয়ে সমাধান খোঁজা হয়। এটা সাধারণ বুদ্ধির কথা, আলাদা করে বলারও প্রয়োজন নেই। মানুষ যা ইচ্ছে বলতে পারে।”
আলাস্কা সম্মেলন
১৫ আগস্ট আলাস্কার একটি সামরিক ঘাঁটিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা স্থায়ী ওই বৈঠকে প্রথমে ট্রাম্পের লিমুজিনে একান্ত আলোচনার পর মূল ভেন্যুতে “তিন–এর–বনাম–তিন” ফরম্যাটে সীমিত পরিসরে আলোচনা হয়।
রাশিয়ার পক্ষে প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানই আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল। তিনি আরও জানান, এখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু করা দরকার এবং সহযোগিতার পথে ফেরার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি ট্রাম্পকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানান।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তবে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছানো যায়নি।