সিরিয়া থেকে জার্মানি: রহাফদের নতুন জীবন
রহাফ এখন জার্মানির পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। তাদের তিন মেয়ে ভালো স্কুলে পড়ে। সম্প্রতি পুরো পরিবার জার্মান নাগরিকত্ব পেয়েছে এবং নিজেদের একটি বাগানওয়ালা বাড়ি কিনেছে।
সিরিয়া থেকে জার্মানি: রহাফদের নতুন জীবন
প্রায় এক দশক আগে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ঘরবাড়ি, চাকরি আর নিরাপত্তা সবকিছু হারান রহাফ আলশার ও তার পরিবার। তাদের বড় মেয়ে রাজা একদিন স্কুলে ক্লাস করার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে গেলেও সেই মুহূর্তেই বাবা-মা ঠিক করলেন— এ দেশ আর নিরাপদ নয়, আমাদের চলে যেতেই হবে।
২০১5 সালে লক্ষ লক্ষ শরণার্থীর সঙ্গে রহাফ, তার স্বামী বাসেম ও তিন মেয়ে জার্মানিতে পৌঁছান। নতুন দেশ, নতুন ভাষা, কনকনে শীত—সবকিছু ছিল কঠিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও প্রথমে মানতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। তবুও হাল ছাড়েননি তারা। ভাষা শিখেছেন, ইন্টার্নশিপ করেছেন, আর ধীরে ধীরে চাকরি পেয়েছেন।
রহাফ এখন জার্মানির পরিবহন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। তাদের তিন মেয়ে ভালো স্কুলে পড়ে। সম্প্রতি পুরো পরিবার জার্মান নাগরিকত্ব পেয়েছে এবং নিজেদের একটি বাগানওয়ালা বাড়ি কিনেছে।
“আমরা অনেক কষ্ট করেছি, কিন্তু আজ আমি গর্ব করে বলতে পারি—আমরা সফল হয়েছি,” বলেন রহাফ। তার স্বামী যোগ করেন, “আমরা এখন জার্মান।”
তবে পথচলা সহজ ছিল না। বন্ধুত্ব পেয়েছেন অনেকের, আবার বৈষম্যও সহ্য করতে হয়েছে, বিশেষ করে হিজাব পরার কারণে। তবুও রহাফ বলেন, এই সমাজ তাকে গ্রহণ করেছে, আর তিনি চান তার সন্তানরা এখানে নিরাপদ ও সম্মানের সঙ্গে বেড়ে উঠুক।