দোহায় বিমান হামলার জন্য কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইল নেতানিয়াহু

ইসরায়েল অবশ্য নিজেদের পদক্ষেপকে “ন্যায্য প্রতিরক্ষা” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিল। অন্যদিকে কাতার ওই হামলাকে “বিশ্বাসঘাতকতা” ও “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” বলে নিন্দা জানায়। দোহা সতর্ক করে দেয় যে, এ ধরনের পদক্ষেপ তাদের মধ্যস্থতায় চলমান হামাস-ইসরায়েল শান্তি আলোচনাকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করতে পারে।

PostImage

দোহায় বিমান হামলার জন্য কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইল নেতানিয়াহু


ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে দোহায় সংঘটিত সেপ্টেম্বরের বিমান হামলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন বলে একটি কূটনৈতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল দোহায় হামাসের রাজনৈতিক নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে একটি বিমান হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে “একতরফা হামলা” বলে আখ্যা দিয়েছিল। সে সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েলের এ হামলায় তিনি “প্রত্যেক দিক থেকেই অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।”

ইসরায়েল অবশ্য নিজেদের পদক্ষেপকে “ন্যায্য প্রতিরক্ষা” হিসেবে ব্যাখ্যা করেছিল। অন্যদিকে কাতার ওই হামলাকে “বিশ্বাসঘাতকতা” ও “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ” বলে নিন্দা জানায়। দোহা সতর্ক করে দেয় যে, এ ধরনের পদক্ষেপ তাদের মধ্যস্থতায় চলমান হামাস-ইসরায়েল শান্তি আলোচনাকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করতে পারে।

হামাস জানায়, ওই হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের নির্বাসিত গাজা প্রধান ও শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হাইয়ার ছেলে। তারা দাবি করে, ইসরায়েল মূলত তাদের যুদ্ধবিরতি আলোচক দলকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।

এছাড়াও হামলায় কাতারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।

বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এই দুঃখপ্রকাশ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমাতে সহায়ক হতে পারে, তবে হামাসের ক্ষোভ এবং কাতারের ক্ষতির প্রেক্ষাপটে শান্তি প্রক্রিয়া কতদূর এগোবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।