প্রথমবার সবাই একসঙ্গে” — ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি বার্তা

রবিবার ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে বলেন, “আমাদের সামনে মহত্ত্বের এক বাস্তব সুযোগ এসেছে। সবাই একসঙ্গে, বিশেষ কিছু ঘটতে যাচ্ছে—আমরা এটি সম্পন্ন করব।” পোস্টটি তিনি তার মোটরকেডে চড়ে ভার্জিনিয়ার শহরতলির গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে দেন।

PostImage

প্রথমবার সবাই একসঙ্গে” — ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি বার্তা


হোয়াইট হাউসে ঐতিহাসিক বৈঠক: ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু মুখোমুখি – গাজা যুদ্ধ শেষ করতে আশাবাদী ট্রাম্প

ওয়াশিংটন, ২৮ সেপ্টেম্বর (রয়টার্স) – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নতুন আশার বার্তা দিয়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকের প্রধান আলোচ্য হবে গাজা যুদ্ধের অবসান এবং একটি কাঠামোগত শান্তি চুক্তি।

রবিবার ট্রাম্প এক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টে বলেন,
“আমাদের সামনে মহত্ত্বের এক বাস্তব সুযোগ এসেছে। সবাই একসঙ্গে, বিশেষ কিছু ঘটতে যাচ্ছে—আমরা এটি সম্পন্ন করব।”
পোস্টটি তিনি তার মোটরকেডে চড়ে ভার্জিনিয়ার শহরতলির গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে দেন।

কূটনৈতিক আলোচনা

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হবে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময়ের কাঠামো নির্ধারণ। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স "ফক্স নিউজ সানডে"-তে বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরায়েলি ও আরব নেতাদের সঙ্গে “খুব জটিল” আলোচনায় যুক্ত আছেন।

ভ্যান্স সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন,
“আমি এখন যতটা আশাবাদী, গত কয়েক মাসে কখনো এতটা ছিলাম না। তবে বাস্তবতা হলো, শেষ মুহূর্তে এমন প্রক্রিয়া ভেস্তেও যেতে পারে।”

তিনি আরও জানান, পরিকল্পনার তিনটি প্রধান লক্ষ্য রয়েছে:

  1. সব জিম্মিদের মুক্ত করা,

  2. ইসরায়েলের জন্য হামাসের হুমকি দূর করা,

  3. গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো।

“আমার মনে হচ্ছে আমরা এই তিনটি লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি,”—যোগ করেন ভ্যান্স।

শান্তি পরিকল্পনা

গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র একটি ২১ দফা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য এ পরিকল্পনা প্রস্তাব করা হয়।

হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের মতে, পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:

  • সব জিম্মিদের (জীবিত ও মৃত) ফেরত আনা,

  • কাতারের ওপর আর কোনো ইসরায়েলি হামলা না চালানো,

  • ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে “শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান” নিয়ে নতুন সংলাপ শুরু করা।

ট্রাম্পের আশাবাদ

শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, গাজা ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি হামাস নেতাদের সঙ্গে তার আলোচনা চলছে এবং প্রয়োজন হলে তা অব্যাহত থাকবে।

ট্রাম্প বলেন, “এটি প্রথমবারের মতো সব পক্ষ একসঙ্গে বসছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছি।”