প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে -প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

“আপনি (নরেন্দ্র মোদি) আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিশেষ ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সহযোগিতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”

PostImage

প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে -প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন


রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও মজবুত ও বহুমাত্রিক করতে টেলিফোনে কথা বলেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ক্রেমলিনের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সংলাপে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ, ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকনির্দেশনা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।

ফোনালাপে পুতিন রাশিয়া-ভারত সম্পর্ককে “জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে” প্রতিষ্ঠিত বলে উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা দীর্ঘ দশকের ঐতিহ্যের প্রতিফলন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারতের শাসনব্যবস্থা, সার্বভৌম নীতি এবং অর্থনৈতিক সাফল্যেরও উচ্চ প্রশংসা করেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে

“প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম নীতি অনুসরণ করছে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে। বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির মধ্যে ভারত বর্তমানে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ,” মন্তব্য করেন পুতিন।

টিভি ব্রিকসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ফোনালাপটি মোদির ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে পুতিনের পাঠানো অভিনন্দন বার্তার পর অনুষ্ঠিত হয়। সেই বার্তায় রুশ প্রেসিডেন্ট মোদির ব্যক্তিগত ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন,

“আপনি (নরেন্দ্র মোদি) আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিশেষ ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিকভাবে উপকারী সহযোগিতা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।”

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে “গঠনমূলক সংলাপ ও যৌথ উদ্যোগ” ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MEA) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়া ভারতের দীর্ঘদিনের এবং সময়পরীক্ষিত অংশীদার। ২০০০ সালের অক্টোবরে পুতিনের ভারত সফরের সময় স্বাক্ষরিত “ভারত-রাশিয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণাপত্র” দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়। তখন থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের পররাষ্ট্রনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (UNGA) ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন। রাশিয়ার দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (X)-এ জানায়, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

পরবর্তীতে জয়শঙ্কর এক পোস্টে লেখেন -UNGA80-এর ফাঁকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, ইউক্রেন সংঘাত এবং মধ্যপ্রাচ্যের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা বিস্তারিত মতবিনিময় করেছি।”

বিশ্লেষকদের মতে, পুতিন ও মোদির সাম্প্রতিক সংলাপ শুধু দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনকে আরও গভীর করছে না, বরং বৈশ্বিক কূটনীতির মঞ্চে মস্কো-নয়াদিল্লির ভূমিকা ভবিষ্যতে আরও প্রভাবশালী হবে—এরও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।

 ভারতের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সাফল্যের পেছনে মোদির নেতৃত্বে গৃহীত “স্বাধীন ও বাস্তববাদী নীতি” ভবিষ্যতে ভারতকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।