মাদক-সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় মোহাম্মদপুর-আদাবরে বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালামই এলাকাবাসীর প্রথম পছন্দ
এক সময় আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনাও এখানে হামলার শিকার হয়েছিলেন—যা আন্তর্জাতিক পরিসরেও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
মাদক-সন্ত্রাসের কবল থেকে মুক্তির প্রত্যাশায় মোহাম্মদপুর-আদাবরে বিএনপি প্রার্থী আব্দুস সালামই এলাকাবাসীর প্রথম পছন্দ
মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরে বাংলা নগর এলাকার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৩ আসন দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনপদগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বে জর্জরিত এই এলাকায় স্থানীয় মানুষজন বহু বছর ধরে শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে। বিগত সরকারগুলোর সময় গুম, ক্রসফায়ারসহ কঠোর আইনশৃঙ্খলা অভিযান চালিয়েও এই জনপদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এমনকি এক সময় আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনাও এখানে হামলার শিকার হয়েছিলেন—যা আন্তর্জাতিক পরিসরেও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।
বর্তমান সরকারের সময় সহনশীলতার সুযোগে এলাকাটি আরও ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহভাবে নষ্ট হয়েছে এবং মাদক-সন্ত্রাসীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসী আশা দেখছে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের দিকে। তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে সাহসী, প্রভাবশালী ও সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন, অভিন্ন সিটি করপোরেশনের ডিপুটি মেয়র ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এলাকাবাসীর মতে, আব্দুস সালামের সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তার বিনয় ও নীতিবোধ। তিনি কখনও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রশ্রয় দেননি এবং সবসময় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। তিনি খেলাধুলা ও যুব সমাজের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নিয়েছেন, যা স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, সে সময় তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাই এবার তারা আরও দৃঢ় প্রত্যয়ে মনে করছেন, এই আসনে আব্দুস সালামই সঠিক প্রার্থী। তাদের বিশ্বাস, তার মত শক্তিশালী ও মানবিক নেতৃত্ব ছাড়া মোহাম্মদপুর-আদাবর-শেরেবাংলা এলাকায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
