মার্কিন অবস্থানের কারণে প্লাস্টিক দূষণ চুক্তি জেনেভায় ব্যর্থ, দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু ঝুঁকি বাড়ল
প্রায় তিন বছরের প্রচেষ্টা ছিল সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি বাধ্যবাধক চুক্তি তৈরি করা। তবে তেল উৎপাদক দেশগুলো, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তির মূল শর্তে বাধা দেওয়ায় বৈশ্বিক চুক্তি এখন অনিশ্চিত। পানামার কূটনীতিক দেব্রা বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না।"
মার্কিন অবস্থানের কারণে প্লাস্টিক দূষণ চুক্তি জেনেভায় ব্যর্থ, দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু ঝুঁকি বাড়ল
জাতিসংঘের ষষ্ঠ রাউন্ডের আলোচনায় প্লাস্টিক দূষণ কমানোর বৈশ্বিক চুক্তি শুক্রবার কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের কারণে নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন সীমাবদ্ধতার প্রস্তাবকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। এর ফলে সমুদ্র ও পরিবেশে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর আশা অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্চস
জানায়; প্রায় তিন বছরের প্রচেষ্টা ছিল সমুদ্রের প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে একটি আইনি বাধ্যবাধক চুক্তি তৈরি করা। তবে তেল উৎপাদক দেশগুলো, বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চুক্তির মূল শর্তে বাধা দেওয়ায় বৈশ্বিক চুক্তি এখন অনিশ্চিত। পানামার কূটনীতিক দেব্রা বলেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবার কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না।"
IPEN-এর বর্ন বেলার বলেন, "মার্কিন মানসিকতা আলাদা। তারা আরও তেল ও গ্যাস উত্তোলন করতে চায়।" এই অবস্থান দীর্ঘমেয়াদে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রচেষ্টা ধীর করে দিচ্ছে।
প্রায় ১০০ দেশের একটি গোষ্ঠী উচ্চাকাঙ্ক্ষী চুক্তি চাইছিল, যাতে প্লাস্টিক উৎপাদন সীমিত করা যায়। ফিজির প্রতিনিধি বললেন, "এটি না করা ঠিক তেমন, যেমন নল বন্ধ না করে মেঝে মুছে ফেলা।"
আলোচনার শেষ পর্যায়ে বিভ্রান্তি দেখা যায়। দুইটি খসড়া চুক্তি তৈরি হলেও কোনোটিই গৃহীত হয়নি। তবে একটি ইতিবাচক সংবাদ হলো, শীর্ষ প্লাস্টিক উৎপাদনকারী চীন স্বীকার করেছে, প্লাস্টিকের পুরো জীবনচক্র নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
দক্ষিণ
এশিয়ার দেশগুলো—বিশেষ করে বাংলাদেশ—জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বড় ক্ষতির মুখে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় এবং সমুদ্র স্তরের বৃদ্ধি তাদের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিকে হুমকিতে
ফেলছে। এই বিপর্যয়ের জন্য
অনেক বিশ্লেষক পশ্চিমা উন্নত দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের দায়ী করছেন।
পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন, "যদি বিশ্বপুঞ্জে প্লাস্টিক ও তেল উৎপাদন সীমাবদ্ধ না করা হয়, তাহলে সমুদ্র দূষণ ও জলবায়ু ঝুঁকি আরও বাড়বে, যা সবচেয়ে বেশি আঘাত করবে দক্ষিণ এশিয়ার দুর্বল দেশগুলোকে।"